চারদিকে হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করেছে, চলে এসেছে আমাদের পছন্দের সিজন শীতকাল।শীতকাল আসা মানেই মানুষের জীবনে অন্যরকম আবেশ চলে আসে।আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের জীবনধারায়ও অনেক পরিবর্তন আসে।আর সবথেকে বেশি পরিবর্তন যেটা আসে সেটা হল আমাদের ত্বক। আমাদের বুঝতে হবে শীতে ত্বকের যত্ন – Skin Care In Winter নেয়াটা কতটা জরুরী ।
শীত এসে গেলেই আমাদের ত্বক মলিন হতে শুরু করে। শীতকালে ত্বকের যত্ন – (winter skin care )করাটা ইম্পর্টেন্ট ।
সেটা শীতকাল আসলেই আমরা বুঝতে পারি।
সারা বছর যদি আমরা ত্বকের যত্ন নাও করি । কিন্তু শীতকালে আমাদের ত্বকের জন্য এক্সট্রা যত্ন নিতেই হয়।
কারণ শীতে মানুষের ত্বক, ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায়, ত্বক ফেটে যায় ।
এবং অতি ঠান্ডায় এলার্জিও শুরু হয়ে যায়। তাই শীতে নিজের ও ত্বকের বাড়তি যত্ন নিতেই হয়।
শীতকালে বাতাসের আদ্রতা অনেক কম থাকে। ফলে শীতের শুরু থেকেই আমরা লক্ষ্য করি যে আমাদের ত্বক রুক্ষ ত্বক শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে ।
শুকনো হয়ে যাচ্ছে, ফেটে যাচ্ছে, দানাদানা হচ্ছে।
এ ধরনের সমস্যা যদি আমরা না চাই ।
তাহলে একটু সচেতনতা ও যত্নের মাধ্যমে আমরা আমাদের ত্বককে অনেক সুন্দর রাখতে পারি।
১) ময়েশ্চারাইজার – Moisturizer :
শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা যে সিজন আসুক না কেন । আমাদের একটা ভালো মানের মশ্চারাইজার ইউজ করাটা সবথেকে বেশি জরুরী।
আর শীতের সিজনে আমাদের ত্বক যে হারে শুষ্ক হয়ে যায় । এ
কটা ভালো মানের মশ্চারাইজার আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়ে ।
শীতকালে শুষ্কতার হাত থেকে ত্বককে বাঁচাতে মশ্চারাইজার এর কোন তুলনা হয় না।
ত্বকে হেলদি গ্লোই ও ত্বকের ভারসাম্য রক্ষা করে আমাদের ত্বকে সুন্দর করার জন্য ।
একটি ভালো মানের মশ্চারাইজার আমাদের জন্য অত্যাবশ্যকীয়।
কারণ মশ্চারাইজার ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। ত্বক থেকে বের হওয়া তেল সংরক্ষণে সাহায্য করে ।
ত্বক মসৃণ ও সুন্দর করতে সাহায্য করে।
বাজারে নানা ধরনের ক্রিম, লোশন, এবং অলিভ অয়েল, তেল, নারকেল তেল পাওয়া যায় গ্লিসারিন পাওয়া যায় ।
এইগুলো আমরা ব্যবহার করতে পারি। এগুলো ব্যবহারের ফলে আমাদের ত্বক রুক্ষ্য শুষ্ক হয় না।
শীতে আপনার ত্বক ভালো রাখার জন্য অবশ্যই মশ্চারাইজার ইউজ করতে হবে।
এজন্য আপনাকে অনেক নামিদামি ব্র্যান্ড বা অনেক টাকা খরচ করতে হবে না।
ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের যত্ন নিতে পারেন আপনি আপনার । নারকেল তেল কমবেশি আমাদের সবার বাসায় সব সময় থাকে।
নারকেল তেল ব্যবহারের ফলেও আপনার ত্বক সুন্দর থাকবে।
আগের দিনের মানুষ শীতকাল এলে ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখার জন্য নারকেল তেল ব্যবহার করতো।
আপনি যদি চান তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েও আপনি ব্যবহার করতে পারেন।
অথবা আপনার ত্বকের ধরন বুঝে ও আপনার ত্বকে যেটা সুট করে । সেটা বুঝেও আপনি কিনতে পারেন।
শীতকালে খুব শক্তিশালী বা শুষ্ক করা ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন না। এমন ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন যা ত্বকের প্রাকৃতিক তেল সংরক্ষণে সাহায্য করে । এবং ত্বককে নরম রাখে ।
আমাদের ত্বকে মৃত কোষ বা মরা চামড়া হয়ে থাকে। আর শীতে এ মরা চামড়ার প্রবণতা অনেক বেশি বেড়ে যায়।
আর মরা চামড়া দূর করার জন্য) স্ক্রাব অন্তত সপ্তাহে এক বার ব্যবহার করা উচিত।
শীতে ত্বকে মৃত কোষ জমে যেতে পারে, তাই সপ্তাহে একবার হালকা স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন।
এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সহায়ক করে। দুদিন করলে বেশি ভালো হয়। আমাদের স্কিন অনুযায়ী ভালো একটা স্ক্রাব ব্যবহার করা উচিত।
আমরা বাজার থেকে স্কিনের ধরন অনুযায়ী স্কাপ কিনে নিতে পারি। অথবা ঘরোয়া পদ্ধতিতে স্ক্রাব আমরা বানিয়ে নিতে পারি।
যারা ঘরোয়া পদ্ধতিতে স্ক্রাব বানিয়ে নিতে চান । তাদের জন্য চটজলদি একটা স্ক্রাবের রেসিপি বলে দিচ্ছি ।
যাতে ঘরোয়া পদ্ধতিতেই স্ক্রাব আপনি বানিয়ে নিতে পারেন।
আমাদের সবার ঘরেই চালের গুঁড়ো সব সময় থাকে । তাহলে এই চালের গুড়ির সাথেই যদি আপনি মধু মিশিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন দারুন একটি স্ক্রাব।
পরিষ্কার একটা বাটি নিতে হবে । এবং সেই বাটিতে এক চামচ চালের গুঁড়ো ও এক চামচ মধু নিতে হবে।
ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি তৈরি হয়ে গেলে মুখ বা হাত,পা যেখানে এই মিশ্রণটি লাগাবেন । সে জায়গাটি ভালো করে পরিষ্কার করে নেবেন পানি দিয়ে।
এরপর এই মিশ্রণটি লাগিয়ে তিন থেকে পাঁচ মিনিট মাসাজ করবেন।
তাহলে আপনি দেখবেন আপনার ফেসের মরা চামড়া সব উঠে গেছে । এবং ত্বক একদম মসৃণ হয়ে গেছে। তারপর আপনি কুসুম গরম পানি দিয়ে আলতো করে মুখটা ধুয়ে নিবেন।
স্ক্রাব ইউজ করার পরে অবশ্যই মশ্চারাইজার লাগাতে হবে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ফেসপ্যাক অনেক উপকারী । কিন্তু এই ফেসপ্যাক ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর সাথে সাথে ত্বকের ড্রাইনেস। ত্বকের বলিরেখা ও ত্বকের কালচে ভাব । রুক্ষ শুষ্কর ত্বকে ঠিক করতে সাহায্য করে।
বাজারে অনেক ফেসপ্যাক পাওয়া যায় । আপনি আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী নিজের জন্য একটা ফেসপ্যাক চুস করতে পারেন।
কিন্তু যারা ফেসপ্যাক কিনে টাকা নষ্ট করতে না চান। তাহলে হাতের কাছে থাকা হোম রেমিড়ি দিয়েই বানিয়ে নিতে পারেন অত্যন্ত কার্যকারী একটি ফেস প্যাক।
যারা ঘরোয়া পদ্ধতিতে শীতের ত্বকের যত্ন নিতে চান। তারা ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই ফেসপ্যাকটি বানিয়ে দিতে পারেন।
১) দুধ বা দুধের সর। যাদের স্কিনে দুধ বা দুধের সর সুট করে না তারা টক দই দিতে পারে।
যাদের স্কিনের দুধ দুধের সর বা টক দই কোনটাই সুট করে না । তাহলে দুধের পরিবর্তে আপনি অ্যালোভেরা জেল নিতে পারেন
২) মধু, মধু আসলে সব টাইপের স্কিনের জন্যই ভালো সব স্কিনেই মধু সুট করে।
৩) বেসন। বেসন ও সব টাইপের স্কিনের জন্য উপকারী।
৪) হলুদ। যাদের একটি সমস্যা এবং এলার্জির সমস্যা আছে। তারা অবশ্যই হলুদ মিশিয়ে দিবেন।
আপনার ফেসের একনি এবং এলার্জিও কমে যাবে।
সবগুলো উপাদান একটি পরিষ্কার বাটিতে নিয়ে খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
এই মিশ্রণটি স্কিনে এপ্লাই করার আগে । ভালো করে সাবান দিয়ে বা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ক্লিন করে নিতে হবে।
তারপর পরিষ্কার তাওয়ালে বা টিস্যু দিয়ে মুখ মুছে নিতে হবে।
এরপরে মিশ্রণটি আপনি আপনার মুখে, গলায়, হাতে, পায়ে যেখানে খুশি লাগাতে পারেন।
লাগিয়ে 10 থেকে 15 মিনিট অপেক্ষা করুন।
প্যাক ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে আলতো করে ঘষে ঘষে পরিষ্কার করে নিন।
এই ফেসপ্যাকটি অন্তত সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন লাগাবেন।
ফেস ভালোভাবে পরিষ্কার করে মুছে অবশ্যই একটি ভালো মানের সিরাম ও মশ্চারাইজার ক্রিম লাগাবেন।
এইভাবে শীতে যদি আপনি আপনার ত্বকের পরিচর্যা নেন । তাহলে আপনার ত্বক ফাটবে না । রেস হবে না, কালো হবে না, ড্রাইনেস বা রুক্ষ হবে না।
শীতকাল এসে গেলে আমরা পানি পান করা কমিয়ে দিই। কিন্তু এটা করা একদমই ঠিক নয়।
শীতকালেও আমাদের বছরের অন্যান্য সময়ের মতো পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে । কারণ শীতকালে আমাদের ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে যায় ।
তাই শীতের সময় আমাদের অনেক বেশি পরিমাণে পানি খেতে হবে ।যাতে আমাদের ত্বকে এর প্রভাব না পড়ে।
পানি আমাদের ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। বেশি পানি পান করলে আমাদের ত্বকে আদ্রতা বজায় থাকে ।
কারণ কম পানি পান করার ফলে আমাদের ত্বকের ভিতরে ও বাইরে খুব বাজে ইফেক্ট পড়তে পারে ।
পানি খাবার সাথে সাথে আমাদের ফলমূল, বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি,মাছ মাংস এবং ডিম দুধ খেতে হবে ।
তাই শীতের সময় আমাদের পানি খাওয়ার দিকে খেয়াল রাখতে হবে । যাতে আমরা পর্যাপ্ত পানি পান করি । এতে আমাদের ত্বক, চুল এবং শরীরে অনেক ধরনের সমস্যা হতে রক্ষা পাবো ।
কারণ শরীরে পানির ঘাটতি হলে আমাদের ত্বক এবং বডির ভিতরে , বাইরে প্রবলেম দেখা দেয়।
পানির ঘাটতির জন্য ত্বক রুক্ষ হয়ে যায় এবং শুষ্ক হয়ে ত্বক টানে । তাই শীতের সময়ও আমাদেরকে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে ।
শীতকাল এ লক্ষ্য করা যায় অনেকের মধ্যে গোসল নিয়ে গোঁড়ামি চলে আসে । যেটা করা একদমই উচিত নয় ।
শীত, গ্রীষ্ম ও বর্ষা যে সিজনি আসুক না কেন । আমাদেরকে গোসল করতে হবে এবং নিজেদেরকে পরিষ্কার রাখতে হবে।
শরীর স্বাস্থ্য, ত্বক এবং চুল সুস্থ সুন্দর রাখার জন্য । আমাদেরকে নিয়মিত গোসল করতে হবে কারণ এটা অত্যন্ত জরুরী।
যতই শীত পড়ুক না কেন আমাদেরকে প্রতিদিন গোসল করতে হবে।
ঠান্ডার সময় আমরা উষ্ণ গরম পানি দিয়ে গোসল করতে পারি। কারণ শীতের সময় ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে আপনার ত্বক আরো বেশি রুক্ষু হয়ে যেতে পারে ।
তাছাড়া ত্বক রুক্ষ শুষ্ক হওয়ার সাথে সাথে আপনার ঠান্ডাও লেগে যেতে পারে ।
তাই সব রকমের ঠান্ডা পানির বদলে আপনি উষ্ণ গরম পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন ।
এতে আপনি ঠান্ডার হাত থেকেও বেঁচে গেলেন । নিজেকে পরিষ্কার ও রাখতে পারলেন ।
আর আপনার ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকবে । আপনার ত্বক অনেক বেশি রক্ষকতার হাত থেকেও রক্ষা পাবে ।
শীতকালের জন্য সুতি কাপড় অত্যন্ত আরামদায়ক । অনেকে আছে যাদের শীতকাল হলে এলার্জির প্রবলেম শুরু হয়ে যায় ।
যেটাকে আমরা কোল্ড এলার্জি বলে থাকি । তাদের জন্য সুতি কাপড় একটি শান্তিময় পোশাক ।
এছাড়া সব ধরনের মানুষের জন্যই এই সুতি কাপড়টি আরামদায়ক পোশাক ।
তাই শীতকালে আমাদের ভারী পোশাকের নিচে সুতি কাপড় পরিধান করলে। আমরা অনেক বেশি কম্ফোর্টেবল থাকবো।
উলের কাপড়ও আমরা পরিধান করতে পারি । যেটা শীতকালে আমাদের বডিকে গরম রাখতে সাহায্য করবে ।
শীতকালে প্রতিদিন অন্তত 10 থেকে 30 মিনিট পর্যন্ত আমাদের রোদে কাটানো উচিত ।
তাহলে আমাদের বডি পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি পাবে ।
আর এই ভিটামিন ডি আমাদের বডি ও ত্বককে সুন্দর করতে সাহায্য করে ।
ত্বকের মসৃণতা ধরে রাখে ও বার্ধক্য আসতে বাধা দেয় ।
শীতকালে সবথেকে বেশি আদ্রতা হারিয়ে ফেলে আমাদের ঠোঁট । আদ্রতা হারিয়ে আমাদের ঠোঁট ফেটে যায় ।
ঠোঁট কালো হয়ে যায়। ঠোঁট রক্ষ শুষ্ক ও শক্ত হয়ে যায়।
তাই ঠোঁটের আদ্রতা ধরে রাখার জন্য পেট্রোলিয়াম জেলি , লিপজেল বা লিপ অয়েল লাগানো উচিত ।
ত্বক বা ঠোঁটা ফাটায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করে পেট্রোলিয়াম জেলি।
শীতের সময় ঠোঁট শুষ্ক এবং ফাটে যেতে পারে । তাই ঠোঁটের জন্য হালকা বাল্ম বা লিপস্টিক ব্যবহার করুন।
এছাড়া, ঠোঁট ময়েশ্চারাইজ রাখার জন্য লিপ বামও ব্যবহার করুন।
শীতকাল এলে ত্বক শুষ্ক হওয়ার পাশাপাশি এলার্জির প্রবণতাও দেখা দেয় । যেটা যাদের কোল্ড এলার্জি আছে তাদের জন্য খুব যন্ত্রণাদায়ক ।
একটু ঠান্ডাতেই হাত, পা সহো সারা শরীর লাল হয়ে দানা দানা হয়ে যায় । চুলকানি হয় এবং মাঝে মাঝে ফুলে যায় ।
এটা সমাধানের জন্য আমাদেরকে গোসলের সময় গরম পানি ব্যবহার করতে হবে ।
হাত পা ধোয়ার সময় বা অজু করার সময় আমাদের গরম পানি ব্যবহার করতে হবে ।
আমাদের খাবার দাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে একটু সচেতন হতে হবে। এবং পরিমাণমতো পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে ।
গোসলের পরে সাথে সাথে লোশন বা তেল ব্যবহার করতে হবে । যাতে মশ্চারাইজার লক করা যায় ।
গ্লিসারিন ভিত্তিক মশ্চারাইজার আমাদের ব্যবহার করতে হবে ।
ত্বক যখন শুষ্ক হয়ে যাবে তখন আবার মশ্চারাইজার এপ্লাই করতে হবে ।
বাইরে বাতাসে বেশি ঘোরাঘুরি করা যাবে না । বাইরে বের হলে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে ।
আরামদায়ক পোশাক পরিধান করবেন। তাহলে আপনি এলার্জির সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্ত হতে পারবেন।
শীতকালে আমাদের মাথার ত্বকে অনেক ধরনের প্রবলেম শুরু হয়ে যায় ।
মাথার ত্বকে জ্বালাপোড়া খুশকি সমস্যা ও ফুসকুড়ির মত প্রবলেম ও দেখা দেয় । প্রায় শীতকালের নিয়মিত অ্যান্টি ডেন্ডঅফ শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করা উচিত।
কিন্তু অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করা যাবে না । অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার আমাদের চুলের জন্য ক্ষতিকর ।
তাই সপ্তাহে দুদিন বা তিন দিন শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে ।
আপনার চুলকে নরম সুন্দর ও হাইড্রেটেড করার জন্য কন্ডিশনার ব্যবহার করুন ।
হেয়ার ড্রায়ার ও হেয়ার স্ট্রেটনার কম ব্যবহার করুন ।
সতর্কতা: শীতকালে ত্বকের যত্ন ও নিজেকে সুন্দর রাখার জন্য নিয়মিত মশ্চারাইজার ব্যবহার করুন ।
রুটিন মাফিক ত্বককে হাইড্রেটেড করুন । কঠোর আবহাওয়া থেকে ত্বকে রক্ষা করুন । নিজেকে সবসময় গরম রাখার চেষ্টা করবেন। স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন এবং পর্যাপ্ত পানি পান করবেন ।
মধু অত্যন্ত উপকারী প্রকৃতিক উপাদান। মধু আমাদের স্বাস্থ্যের দিক থেকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করতে পারে। সৌন্দর্য…
লেবু তার অসংখ্য গুণে গুনাবলির জন্য অন্যতম ।ত্বকের যত্নে লেবু অনেক উপকারী ।লেবুর মধ্যে থাকা…
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের লেবু একটি অপরিহার্য উপাদান ও অংশ।লেবু সাধারণত অন্যান্য খাবারের সাথে বেশি ব্যবহার…
ত্বকের যত্নে নিমপাতা এর উপকারিতা সম্পর্কে আমরা কম বেশী সবাই জানি । কারণ ছোটবেলায় দিদার…
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় প্রাচীনকাল থেকে নিম পাতার ব্যবহার হয়ে আসছে। নিম পাতার উপকারিতা র (nim patar…
প্রাচীন আমল হতেই রূপচর্চায় ও ত্বককে সুন্দর করার জন্য হলুদের ব্যবহার হয়ে আসছে।প্রাচীনকালের মেয়েরা নিজেদের…