ত্বকের যত্নে নিম
ত্বকের যত্নে নিমপাতা এর উপকারিতা সম্পর্কে আমরা কম বেশী সবাই জানি । কারণ ছোটবেলায় দিদার মুখে শুনেছি নিমপাতা দিয়ে আগে মানুষজন তাদের উপচর্চা করে থাকতো।
প্রাচীনকাল থেকে ত্বককে সুস্থ সবল সুন্দর ও উজ্জ্বল রাখার জন্য নিম পাতা ব্যবহার করা হতো।
নিম পাতা ত্বকের জীবাণু ও ইনফেকশন দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
এবং ত্বকে হারিয়ে যাওয়া গ্লো ও উজ্জ্বলতা ফেরত পেতে সাহায্য করে। (toker jotne neem) .
নিম পাতার এত উপকারিতার কথা জেনে শুধু শুধু নিম পাতা ব্যবহার করলেই হবে না ব্যবহার বিধেও জানতে হবে।
আমাদের ত্বকে ব্রণ পিম্পল থেকে শুরু করে এলার্জি জাতীয় যত সমস্যা আছে সবকিছু সমাধান নিতে পারে এই নিম পাতা।
ত্বক ও চুলের যত্নে নিমপাতা অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
নিম পাতা আমাদের ত্বকের যেকোনো ধরনের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
এবং ত্বককে উজ্জ্বল এবং ফর্সা করতে সাহায্য করে।এ নিম পাতার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণাবলি ব্রণ, ফুসকুড়ি, এলার্জি, চুলকানি প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর ।
ত্বকের যত্নে নিমপাতার (toker jotne neem pata) ব্যবহার হয়ে আসছে প্রাচীনকাল থেকে। ।
এই নিমপাতা বাটা আমরা যদি আমাদের মুখে বা ত্বকে ইউজ করি তাহলে আমাদের ফেস থেকে অনেক ধরনের ব্যাকটেরিয়া রিমুভ করতে সহায়তা করে ( mukhe neem patar bahohar)।
ত্বকে থাকা পোর্টস বা ছিদ্রকে পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। (neem patar upokarita).
প্রথমে নিমপাতাগুলো ভালোভাবে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে যাতে ময়লা না থাকে।
এরপর এই নিম পাতা পাঠায় বেটে অথবা মিকচারে ব্লেন্ড করে আপনি আপনার মুখে ইউজ করতে পারেন। ( neem patar babohar).
এরপরে নিম পেস্টি মুখে লাগিয়ে 15 থেকে 20 মিনিট অপেক্ষা করুন শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন।
আপনি চাইলে এই নিম পাতার সাথে গোলাপ জল ও হলুদ ও মিক্স করে নিতে আরো বেশি ভালো ফলাফল পাবেন। (toker jotne neem patar upokarita).
নিম পাতা ব্রণের জন্য ঔষধ হিসেবে কাজ করে ।
আমাদের মুখে ব্রণ উঠলে আমরা ব্রণের জন্য বিভিন্ন ধরনের ঔষধ খাই, ব্রণের ট্যাবলেট ও ব্রণের লোশন ব্যবহার করি ।
কিন্তু নিম পাতা এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান এটি দ্বারা আমরা আমাদের ব্রণ দূর করতে পারি খুব সহজেই।
নিমপাতা ব্রণের জন্য মহা ঔষধ বলা যায় । নিম গাছের মূল কাণ্ড পাতা নিমের ছাল এমন কোন অংশ নেই যেটা আমাদের উপকারে আসে না। (neem pata diye ki bron jay?).
কিছু নিমপাতা ভালোভাবে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
তারপরে এই নিমপাতা শিলপাটায় অথবা বেলেন্ডারে মিলিয়ে নিতে হবে।
পরে এই নিম পাতার সাথে হলুদ গুঁড়ো এবং গোলাপ জল মিশিয়ে নিলে আরো ভালো উপকার পাওয়া যায়।
এই উপকরণগুলো ভালোভাবে মিলিয়ে মুখে লাগিয়ে 15 থেকে 20 মিনিট অপেক্ষা করুন এবং মুখে লাগানো নিমের এই ফেসপ্যাকটি শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখটা ধুয়ে নিতে হবে।
নেম এবং হলুদ ত্বকের জন্য অনেক উপকারী আর এবং গোলাপ জল আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে অনেক সাহায্য করে।
আমরা হয়তো জানিনা নিমপাতা ত্বকে তৈলাক্ত ভাব দূর করতে সহায়তা করে।
নিমের নিমের মধ্যে থাকা ভিটামিন, এন্টিঅক্সিডেন্ট ও এন্টি-ইনফ্লেমেটরি এর মত অত্যন্ত কার্যকরী গুণাবলী রয়েছে। ( oily skine neem patar babohar).
যা আমাদের ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকে উজ্জ্বল এবং ফর্সা করতে সাহায্য করে। ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে ।
এলার্জি দূর করতে সাহায্য করে। গুড়ি গুড়ি দানা দূর করতে সাহায্য করে। ( neem pata ki oily vab dur korte pare).
আমরা যদি সরাসরি নিমপাতা নাও ব্যবহার করতে পারি নিমের গুঁড়া বাজারে পাওয়া যায় ওইটাও আমরা ব্যবহার করতে পারি।
এটা আমাদের ত্বকের তৈলাক্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে এবং ত্বককে ব্রণ এলার্জি হওয়ার হাত থেকেও রক্ষা করে।
আমাদের অনেকেরই এলার্জির সমস্যা আছে এই এলার্জির সমস্যা দূর করতেও নিমপাতা অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
এলার্জির জন্য নিম পাতা মহা ঔষধ। নিমপাতা আমাদের ত্বকের ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
একনি স্কিন এবং এলার্জি প্রবণ স্কিন নিমপাতা দ্বারা সারিয়ে তোলা সম্ভব।
নিয়মিত নিমপাতা ব্যবহারের ফলে আপনার এলার্জির সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
নিম পাতায় কি এলার্জি আছে ? অনেকেই বলে এলার্জির ঔষধ নিম পাতা।
এলার্জির জন্য নিম পাতা অনেক দ্রুত কাজ করে। নিম পাতা ব্যবহারের ফলে এলার্জি ভালো হয়।
নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতার বিষয়ে যদি আমরা বিস্তারিত জানি তাহলে আমরা এ সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাবো
এমন কিছু উপাদান আছেনিম পাতার মধ্যে যে কারণে নিমপাতা ত্বক ফর্সা করতে পারে । নিয়মিত নিমপাতা ব্যবহারের ফলে আপনার টকও এক সেট ফর্সা এবং উজ্জ্বল হতে পারে।
নিমের পানি আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এনিমেল পানি আমরা ঘরে বসেই ঝটপট বানিয়ে নিতে পারি।
কিছু নিমপাতা পরিষ্কার পানির সাথে মিশিয়ে চুলায় ঘন্টাখানে ফুটিয়ে নিতে হবে।
এরপরে যখন পানি তিন ভাগের এক ভাগ থাকবে তখন এই পানিতে উঠিয়ে নিতে হবে।
এরপর এই পানিটি ছেকে ঠান্ডা করে নিতে হবে।
ঠান্ডা হয়ে গেলে স্প্রে বোতলে বাজে কোন কাচের বোতলে এটা রেখে সংরক্ষণ করে ব্যবহার করতে পারেন।
এই পানি আপনার ত্বকে উজ্জ্বল এবং ফর্সা করতে সাহায্য করবে ব্রণ এবং ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করবে।
যদি আপনার টক তৈলাক্ত হয় তাহলে আপনি একসাথে একটু গোলাপ জল মিশিয়ে নিতে পারেন তাহলে আরো ভালো উপকার পাবেন।
আপনি আপনার ত্বকে উজ্জ্বল এবং ফর্সা করার জন্য নিমের পেস্টটা ব্যবহার করতে পারেন।
কিছু নিমপাতা ব্যালেন্ডারেন্ড করে অথবা শিল্পাটায় বেটে নিতে হবে। আপনি চাইলে সরাসরি ওই নিম পাতার পেস্ট লাগাতে পারেন।
ভালো ফলাফলের জন্য এর মধ্যে গোলাপ জল কাঁচা দুধ অথবা কাঁচা হলুদ ও ব্যবহার করতে পারেন।
নিম পাতা ও কাঁচা হলুদের এক জাদুকরী ব্যবহার রয়েছে । এই নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ আপনি খেতে পারবেন এবং পেস্ট বানিয়ে মুখে লাগাতেও পারবেন।
নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ খেলে কি হয় ? আমাদের অনেকেরই অজানা। নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ খাওয়ার উপকারিতা অনেক আমাদের শরীরের জন্য।
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে যদি আপনি নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ খেতে পারেন। তাহলে আপনার দেহ অনেক ধরনের রোগ ব্যাধি থেকে মুক্ত হবে।
নিম পাতা বেটে মুখে দিলে কি হয়? নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ বাটা আমরা যদি নিয়মিত আমাদের ত্বকে ব্যবহার করি । তাহলে আমাদের ত্বক উজ্জ্বল ফর্সা হবে ।
এলার্জির সমস্যা থেকে মুক্ত পাবে । ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে ।
এবং ব্রণ উঠবে না। তারপরে আমাদের অনেকের ত্বকে ব্রণের মত দানা বিচি ওঠে সেগুলো দূর হয়ে যাবে।
আপনার ত্বকে যদি দাউদ ও থাকে সেই সমস্যাও দূর করতে সাহায্য করবে।
নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ মুখে মাখলে কি হয়? আমাদের অজানা থাকলেও এখান থেকে আমরা জেনে নিতে পারি।
আমরা যদি নিমপাতা পেস্ট বানিয়ে মধুর সাথে মিশিয়ে মুখে দেই তাহলে আমাদের মুখ ফর্সা হয়।
আপনার যদি ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে গিয়ে থাকে তাহলে এই পেজটি আপনার জন্য অত্যন্ত উপকারী।
নিম ও মধুর সাথে যদি হলুদ মিশিয়ে নেন তাহলে আপনি আরো ভালো রেজাল্ট পাবেন।
আপনার ত্বকে যদি চুলকানির সমস্যা থেকে থাকে এলার্জির সমস্যা থেকে থাকে দাউদ থেকে থাকে তাহলে সেটা রিমুভ করতে সাহায্য করে নিমপাতা। নিম পাতা ত্বকের চুলকানি দূর করতে খুব দ্রুত কাজ করে।
নিমপাতা চুলের যত্নে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
নিমপাতা আমাদের চুলের ডেন্ড অফ বা খুশকি দূর করতে সহায়তা করে। আমাদের যাদের চুলের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে গেছে তারা যদি আমরা নিয়মিত নিমপাতা চুলে লাগাই তাহলে আমাদের সেই হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বলতা ফিরে পাবো।
চুলের যত্নে আপনি নিমের তৈল – Neem Oil ব্যবহার করতে পারেন।
চুল পড়া দূর করতে ও নিম পাতা সাহায্য করে। এমনকি যাদের মাথায় উকুনের সমস্যা আছে এলার্জির সমস্যা আছে এটাও দূর করে নিম পাতা।
আপনার মনে নিমপাতা ব্যবহারের পূর্বে যদি কোন সংশয় আসে তাহলে অবশ্যই আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করবেন।
মধু অত্যন্ত উপকারী প্রকৃতিক উপাদান। মধু আমাদের স্বাস্থ্যের দিক থেকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করতে পারে। সৌন্দর্য…
লেবু তার অসংখ্য গুণে গুনাবলির জন্য অন্যতম ।ত্বকের যত্নে লেবু অনেক উপকারী ।লেবুর মধ্যে থাকা…
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের লেবু একটি অপরিহার্য উপাদান ও অংশ।লেবু সাধারণত অন্যান্য খাবারের সাথে বেশি ব্যবহার…
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় প্রাচীনকাল থেকে নিম পাতার ব্যবহার হয়ে আসছে। নিম পাতার উপকারিতা র (nim patar…
প্রাচীন আমল হতেই রূপচর্চায় ও ত্বককে সুন্দর করার জন্য হলুদের ব্যবহার হয়ে আসছে।প্রাচীনকালের মেয়েরা নিজেদের…
প্রাচীন আয়ুর্বেদে হলুদকে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কারণ এটি শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, জীবাণুনাশ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ।…