?????????????????????????????????????????
তরমুজকে গ্রীষ্মকালের ফল হিসেবে ধরা হয়। কারণ তরমুজ সবসময় গৃষ্মকালেই পাওয়া যায়। তরমুজের উপকারিতা অনেক। tormujer upokarita ।
গ্রীষ্মের রসালো ফল তরমুজ যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী।
তরমুজ শুধু সুস্বাদু নয় এতে রয়েছে শতকরা প্রায় ৯২-৯৫ ভাগ পানি যা গরমে পানিশূন্যতা রোধে বা পতিরোধ করতে সহায়তা করে থাকে।
প্রচণ্ড গরমে কিংবা রোজার সময়ে তরমুজ খেলে শরীর ও ত্বক উভয় সতেজ ও আর্দ্র থাকে।
তরমুজ পুষ্টিগুণ ও গুণাগুণ প্রতি ১০০ গ্রাম এ পুষ্টিমান (৩.৫ আউন্স) ।
তরমুজে শক্তি থাকে – ১২৭ কিজু (৩০ kcal),
শর্করা থাকে তরমুজে – ৭.৫৫ g, চিনি থাকে – ৬.২ g,
খাদ্য আঁশ থাকে – ০.৪ g, স্নেহ পদার্থ থাকে – ০.১৫ g, প্রোটিন থাকে – ০.৬১ g,
খনিজ পদার্থ থাকে তরমুজে – পটাশিয়াম থাকে – ১১২ মিগ্রা (২%), ম্যাগনেসিয়াম থাকে – ১০ মিগ্রা (৩%),
ফসফরাস থাকে – ১১ মিগ্রা (২%), ক্যালসিয়াম থাকে – ৭ মিগ্রা (১%), লৌহ (Iron) থাকে – ০.২৪ মিগ্রা (২%),
ম্যাঙ্গানিজ থকে – ০.০৩৮ মিগ্রা (২%), জিংক থাকে – ০.১ মিগ্রা (১%), সোডিয়াম থাকে – ১ মিগ্রা (০%),
ভিটামিন থাকে তরমুজে – তরমুজে ভিটামিন A (সমতুল্য) থাকে – ২৮ μg (৪%) – বিটা-ক্যারোটিন থাকে তরমুজে – ৩০৩ μg (৩%) ,
ভিটামিন C থাকে – ৮.১ মিগ্রা (১০%) , ভিটামিন B1 (থায়ামিন) থাকে – ০.০৩৩ মিগ্রা (৩%),
ও ভিটামিন B2 (রিবোফ্লাভিন) থাকে – ০.০২১ মিগ্রা (২%) ,
তরমুজে ভিটামিন B3 (নায়াসিন) থাকে – ০.১৭৮ মিগ্রা (১%),
এবং ভিটামিন B5 (প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড) থাকে – ০.২২১ মিগ্রা (৪%),
ও ভিটামিন B6 থাকে – ০.০৪৫ মিগ্রা (৩%), কোলিন থাকে – ৪.১ মিগ্রা (১%).
তরমুজের রং লাল হয় কেন? এমন প্রশ্ন অনেকের মনে রয়েছে –
তরমুজের মধ্যে লাইকোপেন থাকার কারণে তরমুজের রং লাল হয়।
তরমুজে লাইকোপেন রয়েছে প্রায় ৪৫৩২ µg ও পানি রয়েছে শতকরা প্রায় ৯২-৯৫ ভাগ ।
ত্বকে হাইড্রেটেড করতে তরমুজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ত্বকের শুষ্কতা দূর করে ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে তরমুজ।
তরমুজে ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।
আরনএটি অক্সিডেন্ট আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং আমাদের ত্বকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
তরমুজের মধ্যে থাকা লাইকোপেন আমাদের ত্বককে সূর্যের অতি ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে।
তরমুজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।
আর এই তরমুজের মধ্যে থাকায় ভিটামিন সি ত্বকের কোলাজেন তৈরিতে সহায়তা করে।
কোলাজেন আমাদের ত্বককে টানটান ও তারুণ্যদীপ্ত।
তরমুজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে লাইকোপেন থাকে। তাছারা ও অন্যান্য অনেক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে তরমুজে।
যার ফলে তরমুজ আমাদের ত্বককে রোদের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে বাচাতে ও রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং বার্ধক্য রোধ ও বার্ধক্যের লক্ষণ কমাতে সহায়তা করে।
তরমুজে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে।
অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকের ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে থাকে ও ব্রণ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।।
তরমুজে থাকা ভিটামিন বি স্নায়ু ও ত্বক পুষ্ট করতে সাহায্য করে।
তরমুজে রয়েছে ভিটামিন A, B6, এবং C যার ফলে আমাদের ত্বক প্রাণবন্ত ও উজ্জ্বল হয় ও ত্বককে নরম কোমল, মসৃণ, এবং উজ্জ্বল করে থাকে।
তরমুজ আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। তরমুজের মধ্যে সিট্রুলাইন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড নামক উপাদান থাকে।
আর এই তরমুজের মধ্যে থাকা উপাদান সিট্রুলাইন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এই জন্য হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় তরমুজ।
তরমুজের মধ্যে বিটা-ক্রিপ্টোক্সানথিন থাকে যা প্রদাহ কমাতে সাহায়তা করে থাকে ও রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি হ্রাস বা কমাতে সাহায্য করে।
১ টুকরো তরমুজের মধ্যে প্রায় দৈনিক চাহিদার ১০% ভিটামিন এ থাকে।
এই তরমুজে থাকা ভিটামিন এ যা চোখের সুস্থতার জন্য অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে।
মানুষরা ডায়েট করে তাদের জন্য তরমুজ স্বতন্ত্র উপকারী।
কারন তরমুজে ক্যালোরি কম থাকে, কোনো ধরনের চর্বি থাকে না, কোনো ধরনের কোলেস্টেরল বা সোডিয়াম নেই—ফলে এটি ডায়েটের জন্য আদর্শ খাবার।
তরমুজ খেয়ে আপনি পেট ভরিয়ে রাখতে পারেন কোন ধরনের ওয়েট বাড়বে না।
এনার্জি বৃদ্ধি ও হজম শক্তিকে বাড়াতে সাহায্য করে তরমুজ । প্রতিদিন শরীরচর্চা বা ব্যায়ামের পরে আমরা তরমুজ খেতে পারি।
এর ফলে আমাদের বডিতে এনার্জি রিকভার হবে এবং পানির ঘাটতি পূরণ হবে। ব্যায়াম করার পরে এনার্জি রিকভারির জন্য তরমুজ খুব কার্যকর ।
তাছারা নিয়মিত তরমুজ খেলে পেশির ব্যথা ও ক্লান্তি কমাতে সহায়ক।
তাছারা তরমুজে থাকা পটাশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যামিনো অ্যাসিড শরীরচর্চা পর শরীরের শক্তি ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
এবং এটি পেশীর ব্যথা ও ক্র্যাম্প কমাতে সহায়তা করে থাকে।
তাছারা তরমুজ হজমের জন্য সহজ ও অন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে।
গরমে বা গরম ছারাও শরীরকে হাইড্রেশন করতে সাহায্য করে তরমুজ। কারন তরমুজের মধ্যে প্রায় ৯২% পানি রয়েছে, যা মানুষের বডি বা শরীরকে সঠিকভাবে হাইড্রেটেড করতে সাহায্য করে থাকে ।
নিয়মিত যদি কোনো মানুষ তরমুজ খেতে পারে তাহলে সহজেই মানুষের শরীরের পানির চাহিদা পূরণ হবে।
শরীরে পানির ঘাটতি হবে না ও ক্লান্তি দূর করতে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
আমরা হয়তো জানিনা মানবদেহের প্রদাহ বা ব্যথা কমাতে তরমুজ অত্যাধিক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে ।
কারন তরমুজে থাকে বিটা-ক্রিপ্টোক্সানথিন নামক একটি প্রাকৃতিক রঙ্গক পদার্থ ।
আর এই বিটা-ক্রিপ্টোক্সানথিন নামক পদার্থ মানুষের শরীরের জয়েন্টগুলোকে প্রদাহ থেকে রক্ষা করতে পারে ।এ
বং অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে এটি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পরে ও হতে বাধা দিতে পারে।
আমরা জানি যে তরমুজে অত্যাধিক পরিমাণে পানি থাকে এবং ক্যালরি কম থাকে । তরমুজে ক্যালোরির পরিমাণ অত্যন্ত কম থাকার কারনে ওজন বারে না বেশি খেলেও ।
কারন এক কাপ তরমুজে মাত্র ৪৫.৬ ক্যালোরি থেকে থাকে। এটি চর্বিমুক্ত, কোলেস্টেরলমুক্ত এবং সোডিয়ামবিহীন, তাই ডায়েট চার্টে তরমুজ রাখলে আমাদের জন্য ভালো।
তরমুজ হজম হয় সহযে তাই এটি যদি আপনি নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন তাহলে এটি আপনার অন্ত্র কে ভালো রাখতে ও অন্ত্রের জন্য বেশ উপকারী হতে পারে।
তরমুজ বেশি দিন ফ্রিজে না রেখে খাওয়া ভালো টাটকা অবস্থায় খাওয়াই উত্তম।
বিশেষ করে গৃষ্ম কালে প্রতিদিন খাবার তালিকায় ১ টুকরো করে তরমুজ রাখুন তাহলে এটি শরীর ও ত্বককে নানা ধরনের সমস্যা থেকে রক্ষা করতে পারবে।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের খাদ্য তালিকায় আলুর ভূমিকা অপরিসীম। আলুর কথা মনে পড়লেই চোখের সামনে ভেসে…
আলু একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ও পুষ্টিকর সবজি। আলুর উপকারিতা - alur upokarita , অসাধারণ গুনুগুন,…
লেবুর চা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি, সহজ ও শক্তিশালী পানীয়। টি সাধারণ পানীয় হলেও…
সকালটা শুরু হয় এক কাপ গরম গরম চা দিয়ে। সকালে উঠে এক কাপ চা না…
আমরা অনেকেই ঠান্ডা বা গরম ও সকাল কিংবা সন্ধ্যায় যাই হোক না কেন এক কাপ…
বর্তমান সময়ে দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অনিয়মিত জীবনযাপন, বাহিরে বের হলে করা রোদ, ধুলো-বালির ফলে…