Health

হলুদের উপকারিতা-Benefits of Turmeric

প্রাচীন আয়ুর্বেদে  হলুদকে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কারণ এটি  শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, জীবাণুনাশ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট । আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে হলুদকে ‘হলদি’ বা ‘কুমকুম’ হিসেবে মানা হয়ে থাকে।এবং এটি নানা রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে । তাই আমাদের প্রত্যেককে হলুদের উপকারিতা(holud er upokarita) ও হলুদের গুনাগুন সম্পর্কে জানা উচিত।

হলুদ দ্বারা অনেক ধরনের সমস্যা সমাধান করা যায়।যেমন সংক্রমণ, বিভিন্ন ধরনের এলার্জির সমস্যা ।

প্রদাহ সহো নানা ধরনের ত্বকের সমস্যা , রূপচর্চায় এবং পেটের সমস্যা। ত্বকের বিভিন্ন সংক্রামক রোগ সারাতে হলুদ অনেক কার্যকারী।

চৈনিক চিকিৎসাতে  হলুদ ব্যবহারের ইতিহাস দীর্ঘ কাল ধরে।

হলুদ পেটের রোগ, যকৃতের স্বাস্থ্য ভালো রাখায় এবং রক্ত সঞ্চালন বারানোর জন্য ব্যবহৃত হতো।

হলুদের প্রধান উপাদান হল কুরকিউমিন।

আর এ কুরকিউমিনই প্রাকৃতিক চিকিৎসার গুণাবলীর বহন করে ।

এছাড়া, আধুনিক গবেষণায়তে ও  হলুদ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা গেছে ।

যেমন এটি ক্যান্সার প্রতিরোধ করে ।

স্নায়ুজনিত রোগর, ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সহো আরও অনেক রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।

. হলুদের উপকারিতা কি- What are the benefits of turmeric?

হলুদ একটি অত্যাবশ্যকীয় এবং জনপ্রিয় মশলা। হলুদ ছাড়া রান্নাবাড়া প্রায় অচল বলা যায়।

এই হলুদ  শুধুমাত্র রান্না-বান্নার কাজেই নয় । বরং স্বাস্থ্যের উপকারিতার জন্যও ব্যবহৃত হয়।

তাই শুকনো হলুদের  খাওয়ার উপকারিতা কি  ? (holud er upokarita ki)  ও হলুদ খাওয়ার উপকারিতার ? (holud khawar upokarita)- Benefits of eating turmeric – কি আমাদের জানা দরকার।

হলুদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হলো:

১. প্রাকৃতিক প্রদাহ নিরামক হলুদ :

আমরা অনেকেই মেডিসিন নিতে চাই না, শরীরে প্রদাহ বা জ্বালাপোড়া হলে।

আমরা এই প্রদাহ জ্বালাপোড়া খুব সহজেই প্রাকৃতিক ভাবে নিরাময় করতে পারি হলুদের সাহায্যে।

কারন হলো হলুদের মধ্যে  কুরকিউমিন নামক উপাদান থাকে।

এই হলুদে থাকা কুরকিউমিনই প্রদাহ এবং জ্বালাপোড়া কমাতে সহায়তা করে থাকে।

২. হলুদ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে :

একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে।

নিয়মিত কাঁচা হলুদ খেলে শরীরে এমন কিছু কার্যকারী উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।

যার ফলে ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা অনেক উন্নত হয়ে যায়।

এর ফলে শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে ।

এবং  ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেকাংশে কমাতে সাহায্য করে থাকে ।

৩. ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক হলুদ :

হলুদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এন্টিঅক্সিডেন্ট এ ভরপুর একটি দ্রব্য।

আমরা জানি এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টটি আমাদের শরীরে অনেক ধরনের রোগ আসতে বাধা দেয়।

আর হলুদে অধিক পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।

হলুদ ক্যান্সার প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

হলুদে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদানটি রক্তকণিকাকে অধিক পরিমাণ সুরক্ষা দিয়ে থাকে।

এটা আমাদের অনেকই অজানা।

আর এই হলুদে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট স্তন ক্যানসার, পাকস্থলী ক্যানসার, কোলন ক্যানসার ।

এবং ত্বকের নানা ধরনের ডিজিজ ও ক্যানসার রোধ করতে সাহায্য করে।

৪. ক্ষত দ্রুত সারাতে সহায়তা করে হলুদ :

হলুদ কে ক্ষত সারানো শিরিমণি বলা হয়। প্রাচীনকলের মানুষ কাটা, চিরা ,ফাটা এবং বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যার জন্য হলুদ ব্যবহার করতো।

কারন কাঁচা হলুদের মধ্যে কার্কিউমিন ও  অন্যান্য অনেক ধরনের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকে ।

যা ক্ষত এবং আঘাতের যন্ত্রণা কমায়।

শুধু ক্ষত ও যন্ত্রণা নয়, দাগ ও উঠিয়ে ফেলে এই হলুদ।

এ কারণে ডাক্তার ও চিকিৎসকরা ছোট বাচ্চাদের এবং সব বয়সী মানুষদেরকে নিয়মিত কাঁচা হলুদ খাওয়ার পরামর্শ দেন।

ক্ষত স্থানে বা ঘা তে আমরা যদি কাঁচা হলুদ বেটেও লাগাই  ক্ষতস্থান খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।  এবং সারিয়ে তুলে।

৫. আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমায় হলুদ :

হলুদের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বা  প্রদাহনাশক গুণ আছে।

এই অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রধানত প্রদাহ নাশক হিসেবে কাজ করে ।  আর্থ্রাইটিসের কারণে হওয়া ব্যথা এবং অস্বস্তি হয়।

এই ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে হলুদ খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এটি হাড়ের কোষগুলোকে সুরক্ষা দিয়ে থাকে । এবং নড়াচড়ারয় যে ব্যথা অনুভব হয় তা  দূর করতে সাহায্য করে ।

৬. মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে সাহায্য করে হলুদ :

আমরা হয়তো জানিনা হলুদ আমাদের মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে।

হলুদের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান পার্কিনসনস, আলঝেইমার ও টিস্যুর স্থবিরতার মতো মস্তিষ্কজনিত রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।

এই উপাদান গুলোর কারণে  মস্তিষ্কের তথ্য আদান-প্রদান বৃদ্ধি পায় ।

এবং হতাশা জনিত রোগ ব্যাধি কমাতে সাহায্য করে।

৭. যকৃ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সহায়ক হলুদ :

হলুদ যকৃতের বিভিন্ন প্রকার রোগ সারাতে সাহায্য করে ।

যকৃতের বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন হেপাটাইটিস, সিরোসিস, এবং গলব্লাডারের সমস্যা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে হলুদ ।

হলুদ যকৃৎকে সুরক্ষিত করে রাখে ।

এবং যকৃতের স্বাস্থ্যের স্বাস্থ্যকর কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে ।

তাই আমাদের নিয়মিত হলুদ খাওয়া উচিত।

৮. পিরিয়ডের সমস্যা দূর করে হলুদ :

হলুদের মধ্যে থাকে কার্কিউমিন। আর হলুদের কার্কিউমিন হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায়তা করে।

যা মাসিকের অস্বাভাবিকতা । এবং পিরিয়ডের আগে ব্যথা কমাতে অনেক বর ভূমিকা পালন করে।

৯. মাথা যন্ত্রণা কমায় হলুদ :

ভাবা যায় হলুদ মাথা যন্ত্রণা কমাতেও সাহায্য করে । কারন হলুদে থাকা কার্কিউমিন এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান আছে ।

যা শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে্। এবং মাথা যন্ত্রণার সমস্যা ও কমিয়ে দেয় ।

এক কাপ হলুদ মেশানো দুধ পান করলে মাথা যন্ত্রণা অনেক তারাতারি কমে যায়।

হলুদ দুধের সাথে মিশিয়ে পান করার উপকারিতা অনেকের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।

তাই রোজ এক গ্লাস করে হলুদ দুধ পান করা উচিত। মাথা ঠানডা রাখে।

১০. হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে হলুদ :

পাচক রসের ক্ষরণ বৃদ্ধি পায় যদি আপনি নিয়মিত হলুদ খেতে পারেন।

আর প্রতিদিন হলুদ খাওয়ার  ফলে হজম ক্ষমতা উন্নত হয়ে থাকে।

এ ঞলুদ বদহজম, গ্যাস, অম্বল, এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো সমস্যাগুলোর সমাধানে সাহায্য করে।

১১. কাঁচা হলুদ খেলে কি ফর্সা হয় :

কাঁচা হলুদ ত্বকের জন্য অনেক উপকারী । হলুদে এর উপকারিতা ত্বকের জন্য অকল্পনীয়।

নিয়মিত কাঁচা হলুদ খেলে বা ব্যবহার করলে ।   আপনার ত্বক হয়ে যাবে উজ্জ্বল এবং ফর্সা ।

. হলুদের  অপকারিতা – Disadvantages of turmeric :

হলুদ খাওয়ার উপকারিতা যেমন অনেক।  তেমনি অতিরিক্ত হলুদ খাওয়ার অপকারিতা ও অনেক। কাঁচা হলুদ খেলে কি ক্ষতি হয় ? ও কাঁচা হলুদ খেলে কি কি উপকার হয় ?

আমাদের প্রত্যেকের জানা জরুরি – Benefits and harms of turmeric ।

গুড়া হলুদে এর উপকারিতা কথা আছে বলেই আমাদের অতিরিক্ত হলুদ খেতে হবে এমন নয়।

কারণ সবকিছুরই একটি সীমারেখা আছে।

অতিরিক্ত হলুদের ব্যবহার নানা রকম সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।

হলুদের মধ্যে থাকা  হেপসিডিন এবং পেপটাইডস, আমাদের শরীরের আয়রন শোষণকে প্রভাবিত করতে পারে।

হলুদের অপকারিতা ও উপকারিতা ও  আমাদের অনেক ফিট হতে সাহায্য করবে ।

এবং এই প্রভাব এর ফলে আয়রনের ঘাটতি সৃষ্টি হতে পারে । যেটা একদমই আমাদের শরীরের জন্য মঙ্গলময় নয়।

আয়রনের ঘাটতি হলে আমরা কোন ধরনের অসুস্থ হয়ে যেতে পারি ।

সেই ধারণা তো আমাদের কম বেশি সবারই আছে । এ কারণে, অতিরিক্ত হলুদ খেলে হজমে সমস্যা, মাথা ধরা, ত্বকের সমস্যাসহ অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

এছাড়া, অতিরিক্ত হলুদ খাওয়ার ফলে ও ব্যবহারের ফলে আলসার, লিভার বড় হয়ে যাওয়া মত বর সমস্যা হতে পারে ।

এবং জ্বালাপোড়া ও প্রদাহ হতে পারে।

খুব বেশি পরিমাণে হলুদ খাওয়া, ও অতিরিক্ত হলুদ ব্যবহার করা এড়ানো উচিত ।

কারণ শরীরের জন্য হলুদের সুস্থ মাত্রা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

তবে, যদি সীমিত পরিমাণে হলুদ ব্যবহৃত হয়।  তা সাধারণত শরীরের জন্য উপকারী । এবং কোন সমস্যা সৃষ্টি করবে না।

তবে, যেকোনো ধরনের নতুন খাদ্য বা উপাদান সেবনের আগে।  একজন পুষ্টিবিদ বা চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভাল।

. হলুদ খাওয়ার নিয়ম – Rules for eating turmeric :

শুধু হলুদ খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানলেই হবে না । হলুদ খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কেও আমাদের জানতে হবে।

হলুদ খাওয়ার নিয়ম অনেকটা সহজ।  তবে সঠিক পরিমাণ এবং পদ্ধতি ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরী ।

যাতে আমরা এর সঠিক উপকারিতা পেতে পারি ।   এবং কোনো রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আমাদের না হয়।

এখানে হলুদ খাওয়ার কিছু সাধারণ নিয়ম দেওয়া হলো:

. কাঁচা হলুদ খাওয়া নিয়ম :

অনেক সময় আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে কাঁচা হলুদ খেলে কি ক্ষতি হয়? কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা জানা দরকার ।

তবে কিছু কিছু মানুষদের ক্ষেত্রে কাঁচা হলুদ না খাই উত্তম ।

আবার কিছু কিছু মানুষদের ক্ষেত্রে কাঁচা হলুদ খাওয়া উত্তম। যেমন ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কাঁচা হলুদ উপকারী।

আবার যেমন যাদের হজমের সমস্যা আছে তাদের জন্য কাঁচা হলুদ না খাওয়াই ভালো ।

কারণ এটা তাদের জন্য ক্ষতি কর ।  তাই কাঁচা হলুদ খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই নিজের স্বাস্থ্যের দিকে লক্ষ্য রেখে খেতে হবে।

কাচা হলুদ খাওয়ার পরিমাণ :

ডাক্তারদের মতে প্রতিদিন ১-২ চামচ কাঁচা হলুদ খাওয়া যায় ।  কাঁচা হলুদ খাওয়ার জন্য হলুদ গুঁড়া বা কাঁচা হলুদ হলে ।

এটি ছোট টুকরো করে কেটে নিতে পারেন।

কাচা হলুদ খাওয়ার পদ্ধতি:

কাঁচা হলুদ মুখে নিয়ে চিবিয়ে খাতে পারেন। যদিও চিবিয়ে খাওয়া কষ্টকর এবং স্বাদও ভালো না ।

অথবা একটি গ্লাস গরম পানিতে কাঁচা হলুদ কেটে মিশিয়ে পান করা যেতে পারে।

এটি হজমে সাহায্য করবে এবং শরীরের প্রদাহ কমাবে।

. হলুদ দুধ দুধ হলুদ :

দুধ হলুদের উপকারিতা অপরিসীম । এক গ্লাস দুধের জন্য ১ থেকে ২ চামচ হলুদ গুঁড়া ব্যবহার করা যেতে পারে।

এরপর পরিষ্কার একটি চামচ দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে দুধ এবং হলুদ মিশিয়ে নিতে হবে।

হলদে দুধ খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে অনেক উপকারী।

গরম দুধের সাথে হলদি মিশিয়ে খাওয়ার উপকারিতা অনেক। দুধ গরম করে তাতে হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে নিতে হবে ।

এবং সরাসরি না খেতে পারলে। ১-২ মিনিট ভালোভাবে ফুটিয়ে ও খেতে পারেন।

স্বাদ এর জন্য এক চামচ বা দুই চামচ মধু মিশিয়েও নিতে পারেন ।  এটি স্বাস্থ্য ও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।

এবং হলুদ দুধ শরীরের প্রদাহ কমায় । ও আমাদের ঘুম ভালো করতে সাহায্য করে।

. হলুদ এবং মধু :

কাঁচা হলুদ ও মধু খাওয়ার উপকারিতা অপরিশীম । ১ চামচ মধু ও ১ চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে খাওয়া যায়।বা সাথে পানি ও যোগ করতে পারেন।

সকালে ঘুম থেকে জাগার পর খালি পেটে এই মিশ্রণটি খেতে হবে ।

এটা ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তুলতে ।  এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ভুমিকা পালন করে।

. হলুদ পানীয় (হলুদ পানি) :

হলুদ জল খাওয়ার উপকারিতা অনেক । এক গ্লাস গরম পানিতে ১/২ চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে পান করুন কারন এটা উপকারী ।

সকালে হলুদ পানি খাওয়া হলে এটি শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে পারে ।

এবং হজমের ক্ষমতা ও হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে।

. হলুদ পাউডার মিশিয়ে রান্না :

১/২ চামচ হলুদ গুঁড়া দৈনিক খাবারে ব্যবহার করা যেতে পারে।

দৈনন্দিন জীবনে হলুদ গুঁড়া রান্নার মশলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

যেমন বিভিন্ন ধরনের রান্না ঝোল, তরকারি, স্যুপ ইত্যাদিতে। এটি শরীরের জন্য পুষ্টিকর।

. হলুদ এবং লেবুর রস :

১ চামচ লেবুর রস এর সাথে ১/২ চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

এটি ত্বক পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে ।

এবং ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করবে। দিনে একবার এটা খাওয়া যায়।

সতর্কতা:

হলুদ খাওয়ার ক্ষেত্রেও আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে । কারন কারণ অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়।  অতিরিক্ত হলুদ খাওয়ার কারনে শরীরের অনেক ক্ষতি হতে পারে।  তাই সঠিক পরিমাণে হলুদ ব্যবহার করা উচিত।

Shamira

Recent Posts

মধুর উপকারিতা – Benefits of honey

মধু অত্যন্ত উপকারী প্রকৃতিক উপাদান। মধু আমাদের স্বাস্থ্যের দিক থেকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করতে পারে। সৌন্দর্য…

1 month ago

ত্বকের যত্নে লেবু – Lemon for skin care

লেবু তার অসংখ্য গুণে গুনাবলির জন্য অন্যতম ।ত্বকের যত্নে লেবু অনেক উপকারী ।লেবুর মধ্যে থাকা…

2 months ago

লেবুর উপকারিতা – Benefits of Lemon

আমাদের দৈনন্দিন জীবনের লেবু একটি অপরিহার্য উপাদান ও অংশ।লেবু সাধারণত অন্যান্য খাবারের সাথে  বেশি ব্যবহার…

2 months ago

ত্বকের যত্নে নিম – Neem in skin care

ত্বকের যত্নে নিমপাতা এর উপকারিতা সম্পর্কে আমরা কম বেশী সবাই জানি । কারণ ছোটবেলায় দিদার…

2 months ago

নিম পাতার উপকারিতা – Benefits of Neem Leaves

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় প্রাচীনকাল থেকে নিম পাতার ব্যবহার হয়ে আসছে। নিম পাতার উপকারিতা র (nim patar…

2 months ago

ত্বকের যত্নে হলুদ – Turmeric in skin care

প্রাচীন আমল হতেই রূপচর্চায় ও ত্বককে সুন্দর করার জন্য হলুদের ব্যবহার হয়ে আসছে।প্রাচীনকালের মেয়েরা নিজেদের…

2 months ago