লেবুর চা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি, সহজ ও শক্তিশালী পানীয়।
টি সাধারণ পানীয় হলেও লেবু চায়ের উপকারিতা অসাধারণ। বিশেষ করে স্বাস্থ্য-সচেতন মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে লেবু চা বহু শতাব্দী ধরে।
আপনি যদি কালো চা, লেবু ও মধু এক সাথে মিশিয়ে পান করেন ও তাছাড়া গ্রিন টি বা সবুজ চা এর সাথে লেবু মিশিয়ে খেয়ে থাকেন, তাহলে জেনে রাখুন এই পানীয়টি শুধু আপনার স্বাদের জন্য মঙ্গলই নয়, গায়ের মেদ চর্বি কমিয়ে মানুষকে ফিট রাখতে কার্যকর।
চা বলতে সাধারণত আমরা ঘ্রাণ বা সুগন্ধযুক্ত, গরম বা উষ্ণ গরম এবং স্বাদযুক্ত- ফ্লেভারে ভরপুর পানীয়কে বুঝি।
যা গরম পানিতে চা-পাতা ফুটিয়ে বা টি ব্যাগ গরম পানিতে ভিজিয়ে তৈরি করা হয়। “Camellia sinensis” হলো এর বৈজ্ঞানিক নাম ।
ইংরেজিতে এটাকে (টি- tea) বলা হয়ে থাকে। এটি আসছে থিয়া-র নাম থেকে যে কিনা গ্রিক দেবী ছিলেন।
চীন দেশে একে উচ্চারণ করা হতো “চি” বলে। যা পরবর্তীতে হয়ে যায় “চা” শব্দ ।
পানির পরেই বিশ্বে যার অবস্থান সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় সে হলো চা।
এই চা শুধু স্বাদেই অনন্য এমন নয়, বরং যখন আপনি ক্লান্ত থাকেন তখন এটি খেলে আপনার দেহ ও মনে এক ধরণের প্রশান্তি এনে দিবে।
প্রস্তুত প্রণালির ভিত্তিতে চা কে মোট পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়: সবুজ চা, কালো চা – লিকার চা , হোয়াইট চা – দুধ চা , উলং চা এবং ফার্মেন্টেড চা।
চায়ের আদি জন্মভূমি হিসেবে চীনকে ধরা হয়।
চীনে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে চা উৎপাদন বা বানানো শুরু হয় খ্রিস্টাব্দ ১৬৫০ সালে । ভারতীয় উপমহাদেশে ১৮৫৫ সালে চায়ের ইতিহাস শুরু হয়।
সিলেটে যখন ব্রিটিশরা চায়ের গাছ আবিষ্কার করেন। বাংলাদেশের সিলেটে মালনীছড়ায় প্রথম চা বাগান স্থাপন করা হয় ১৮৫৭ সালে ।
এরপর আস্তে আস্তে চায়ের বিভিন্ন রকম সংমিশ্রণ আমাদের দেশে অনেক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। যার মধ্যে লেবু চা, আদা চা, দুধ চা, মসলা চা, বেশি জনপ্রিয় ।
লেবু একটি পরিপূর্ণ পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল। লেবুর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, সাইট্রিক এসিড, ভিটামিন বি৬, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
এসব সকল পুষ্টি উপাদানগুলো আমাদের শরীরের Immunity boost বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সিাহায্য করে। এবং এটি আমাদের শরীরের অ্যালার্জির ও সংক্রমণ রোগ হওয়া থেকে সুরক্ষা প্রদান করে।
ভিটামিন সি-এর দারুণ উৎস হলো লেবু চা। কারন লেবুতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি, সাইট্রিক এসিড পাওয়া যায়।
লেবুর মধ্যে রয়েছে হাই লেভেল বা উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি । যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায্য করে।
এবং লেবু নানা ধরনের ফ্রি র্যাডিকেলের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করতে বা কমাতে সাহায্য করে।
লেবু চা য়ের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শক্তি রয়েছে।
কারন চায়ের মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড,অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ,ক্যাটেচিন ও পলিফেনল ও লেবুতে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড ।
অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে তারা শরীরকে রক্ষা করে। এবং আমাদের শরীরের কোষকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
লেবু চা অনেক ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতায় ভরপুর।
এটি মুলতো বানানো হয়ে থাকে পানি, খুব কম পরিমান চা-পাতার সঙ্গে লেবুর রস ও মাঝে মাঝে মধু মিশিয়ে ।
নিচে এর কিছু উল্লেখযোগ্য লেবু চা এর উপকারিতার কথা তুলে ধরা হলো:
লেবুতে রয়েছে অনেক পরিমানে ভিটামিন সি ।লেবু মূলতো ভিটামি সি এর জন্য বিখ্যাত ।
ভিটামিন C ছড়াও লেবুতে আছে সাইট্রিক এসিড, ভিটামিন B6, পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম, সহো আরও অনেক ধরনের উপাদান যা আমাদের দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
তাছাড়া চা-পাতা ও চা-দানায় থাকে ফ্ল্যাভোনয়েড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যেটা আমাদেরকে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
ত্বকের যত্নে লেবু-চা অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে। অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ রয়েছে লেবু চা য়ে যা আমাদের ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
এবং লেবু-চা আমাদের ব্রণ ও একজিমার মতোন খারাপ সমস্যা প্রতিরোধ করতে পারে।
তাছাড়া লেবুতে থাকা ভিটামিন সি আমাদের দেহে কোলাজন উৎপাদনে সহায়তা করে।
যার ফলে আমাদের ত্বক উজ্জ্বল, ফর্সা ও টানটান হয়।
লেবু চা আমাদের দেহের অবাঞ্চিত ওয়েট দূর করতে সহায়তা করে ।
কারন লেবু চা আমাদের শরীরকে শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে ডিটক্স বা ডিটক্সিফাই করতে পারে।
তাছাড়া লেবু যা আমাদের হজম শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।
এছাড়াও ও লেবুর মধ্যে থাকা নানা উপাদান আমাদের মেটাবলিজম কে উন্নত করতে সাহায্য করে।
যার ফলে আমাদের দেহে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বি পুড়িয়ে ফেলে।
ফলে ধীরে ধীরে আমাদের বডির চর্বি কমে যায়। এবং ওজন ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
লেবু চা আমাদের ডিপ্রেশন বা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে ।
কারন লেবু – চায়ে মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও জিঙ্ক আমাদের স্নায়ুকে calm down বা শান্ত রাখতে সহায়তা করে।
এ লেবু-চা মানুষের স্ট্রেস হ্রাস করতে পারে। এবং কিছু সময়ের মধ্যে মানুষের মনকে প্রশান্ত করে তোলে।
এক কাপ উষ্ণ লেবু চা আপনার মুড সুইং ও মুড ভালো করে দিতে পারে।
লেবু চা আমাদের হজমের সমস্যা দূর করতে সাচায্য করে। বিশেষত এটি অ্যাসিডিটি প্রশমনে বা কমাতে অনেক কার্যকর।
তবে মনে রাখতে হবে যে, দুধ চায়ের সাথে কখনোই লেবু মেশানো যাবে না বা উচিত নয়।
কারণ লেবুর মধ্যে থাকে সাইট্রিক এসিড। সাইট্রিক এসিড দুধের সাথে বিক্রিয়া করে।
তার জন্য দুধ চায়ের সাথে লেবু মেশানো উচিত নয়।
লেবুতে থাকা হাই-ফাইবার আমাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে।
ও সঠিক হজম প্রক্রিয়া ঠীক রাখতে সহায়তা করে লেবু-চা।
লেবু চা খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। গরম হলেও লেবু চা আমাদের শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।
চিনি ছাড়া খাওয়া দরকার, এতে করে আরও স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে লেবু চা।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে লেবু চা।
লেবুর মধ্যে থাকা নানা ধরনের উপকারী উপাদান থাকে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
লেবুচা বডির চর্বি বা মেদ কমাতে সাহায্য করে।
কিন্তু ডায়াবেটিস পেশেন্টদের জন্য অবশ্যই লেবু চা চিনি ছাড়া খেতে হবে।
চিনি ব্যবহার করা যাবে না। লেবু চা যদি চিনি দিয়ে খাওয়া হয় উল্টো ডায়াবেটিস বেড়ে যাবে তাই চিনি এভোয়েড করতে হবে।
আপনি চাইলে চীনের পরিবর্তে মধু ব্যবহার করতে পারবেন অবশ্যই সেটা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী।
গ্রিন টির মধ্যে থাকে ক্যাটেচিন । এবং লেবুর মধ্যে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগ।
যা আমাদের মস্তিষ্কের কোষগুলোকে রক্ষা করতে সাহায্য করে যার ফলে আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়ে।
আমাদের মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে লেবু-চা।
লেবু চা আমাদের হৃদপিণ্ড বা হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
কারণ কালো লেবু চায়ের মধ্যে থাকে ফ্ল্যাভোনয়েড। যা আমাদের হার্টের স্বাস্থ্যকে উন্নত ও ভালো রাখতে সাহায্য করে।
এবং আমাদের হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা তান্বিত করে। তাছাড়া কালো লেবু চা আমাদের দেহের চর্বি বা ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে বিধায় আমাদের হার্টের চর্বি জমা হতে পারে না।
যার ফলে হার্টের শিরা ও ধমনীর গুলোতে রক্ত চলাচলে বাধা প্রদান করতে পারে না।
ইজিলি হার্টের রক্ত চলাচল করতে পারে এবং রক্ত পান করতে পারে যার ফলে হার্ট অ্যাটাক ও হার্ট ফেলওয়েলের ঝুঁকি কমে যায়।
দেহে জমে থাকা অতিরিক্ত তেল চর্বি দূর করতে সাহায্য করে লেবু চা।
গ্রিন টির সাথে লেবু ও মধুর মিশিয়ে নিয়মিত খেলে এটি খুব দ্রুত অতিরিক্ত তেল চর্বি কমিয়ে ফেলে।
লেবু চা আমাদের বডির এন্টিঅক্সিডেন্ট শোষণ বাড়াতে সাহায্য করে।
লেবুতে থাকা ভিটামিন সি ক্যাটেচিনকে আরও কার্যকর ভাবে মানুষের দেহে শোষিত হতে সহায়তা করে।
জ্বর সর্দি কাশি গলা ব্যথা হলে যদি লেবু চা খাওয়া হয় তহলে অনেক আরাম পাওয়া যায়।
কিন্তু অবশ্যই লেবু চায়ের সাথে মধু মিশিয়ে নেবেন দের থেকে দুই চামচ।
কারণ মধুর মধ্যে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে, লেবুতে অ্যাসিডিক ও গ্রিন টিতে প্রদাহ বিরোধী প্রভাব থাকে।
যার ফলে এই ধরনের সমস্যা থেকে আরাম পাওয়া যায়।
লেবু-চা আমাদের দেহকে ডিটক্স করতে সাহায্য করে। এবং আমাদের দেহ থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। এবং আমাদের বডিকে পরিশুদ্ধ করতেও সাহায্য করে।
নিয়মিত লেবু চা খাওয়ার ফলে আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা অনেকাংশে বেড়ে যাবে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কোলাজেন অনেক বড় ভূমিকা রাখে এবং এই কোলাজেন পাওয়া যায় লেবু চা তে ।
আমাদের শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সাহায্য করে লেবু চা। হাঁপানি বা ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
হ্যাঁ লেবু-চা খালি পেটে খাওয়া যাবে। তবে অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলে সকালে খালি পেটে না খাওয়াই ভালো।
লেবু চা প্রোতি দিন ২ থেকে ৩ কাপ পর্যন্ত খাওয়া নিরাপদ। অতিরিক্ত লেবু চা পান করলে অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা দাঁতের এনামেল ক্ষতি হতে পারে ।
লেবু চা তে মধু যোগ করে খাওয়া ভালো। তাতে চায়ের গুনাগুন অনেক বেরে যায়।
চা কিছুটা ঠান্ডা হলে যেমন ৪০–৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এলে মধু যোগ করুন, যাতে করে মধুর এর পুষ্টিগুণ বজায় থাকে।
জি ডায়বেটিস রোগিরা ভালো ভাবে খেতে পারবে। তবে সেটা চিনি ছাড়া খেতে হবে চিনি দিয়ে খাওয়া যাবে না।
নিয়মিত লেবু খাওয়া চা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ও অনেক উপকারী ।
হ্যা খেতে পারবে । তবে পরিমিত পরিমাণে খাওয়া নিরাপদ ও ভালো, কিন্তু প্রতিদিন ক্যাফেইন এর মাত্রা চেক করে নিতে হবে এবং সে অনুযায়ী খেতে হবে।
এবং অবশ্যই ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে খাবেন। কিন্তু লেবু চা তে কোন সমস্যা হয় না।
সকালে খালি পেটে লেবু চা খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী কারণ এটি আমাদের শরীরের কে ডিস্টক্সিফাই করে।
আমরা সবাই জানি লেবুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে সাইট্রিক অ্যাসিড পাওয়া যায়।
সাইট্রিক এসিড লিভার পরিশুদ্ধ করতে সহায়তা করে।
সকাল বেলা খালি পেটে লেবু চা খাওয়ার উপকারিতা অনেক।
এটি আমাদের লিভারের জমে থাকা বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য পদার্থ দূর করতে সহায়তা করে।
চার সাথে লেবুর রস খেলে অনেক ধরনের উপকার পাওয়া যায় ।
জ্বর সর্দি ঠান্ডা কাশি হলে বা গলা ব্যথা হলে অনেক উপকার পাওয়া যায় এগুলা নিরাময় হয় আরাম পাওয়া যায় ।
এবং দাঁত পরিষ্কার করে ঝকঝকে সাদা হয়ে যায়।
গলা ব্যথা এবং গলায় টনসিল হলে তাতেও আরাম পাওয়া যায় ব্যথা কম হয়।
লেবুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি সাইট্রিক এসিড এবং পটাশিয়াম আছে যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে ।
এবং হৃদপিন্ডের নানা ধরনের তেল চর্বি সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
চায়ে লেবু খেলে কি হয় এমন প্রশ্ন আমাদের সবার মনে আসে কিন্তু চায়ে লেবু খাওয়া উপকারী।
জি লেবু যে আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে।
তাহলে ঘুম থেকে উঠে যে চিনি দিয়ে চা অথবা কফি না খেয়ে আমরা যদি এক কাপ লেবু চা খাই চিনি ছাড়া তাহলে এটা আমাদের ওজন অনেকাংশে কমিয়ে দিতে সহায়তা করে।
তাছাড়া ও আমরা যদি উষ্ণ গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খাই তাহলে সেটাও আমাদের মেদ কমাতে সহায়তা করে।
হ্যাঁ সকালে খালি পেটে লেবুর পাড়া চা খাওয়া যাবে, এটি অনেক উপকারী এটি আমাদের লিভারের ময়লা বর্জ্য আবর্জনা দূর করতে সাহায্য করে।
না লেবু কিডনির জন্য ক্ষতিকর না লেবু কিডনির জন্য উপকারী ।
কারণ লেবুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে সাইট্রিক এসিড থাকে, আর লেবুর মধ্যে থাকা এই সাইট্রিক এসিডি আমাদের কিডনির পাথর হওয়া থেকে রক্ষা করে।
লেবু খাওয়ার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ আছে প্রতিদিন দু থেকে তিনটি লেবু খাওয়া যায়।
বাচ্চাদের জামার 7 দিন লেবু পানি খায় তাহলে আমাদের স্কিনে অনেক পরিবর্তন দেখা যাবে স্কিন ভালো হবে ফর্সা হবে উজ্জ্বল হবে তার সাথে সাথে আমাদের শরীরে মেয়ের চর্বি ও কম হতে সহায়তা করবে।
আমাদের হজম শক্তি বাড়বে এবং শরীর হালকা ফিল হবে।
লেবু চা আমাদের লিভারের জন্য ভালো।
এটি লিভারে জমে থাকা ময়লা বা দূষিত পদার্থ গুলো দূর হতে করতে সাহায্য করে।
লেবু পানি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য পেটের জন্য উপকারী এটার মধ্যে অনেক পরিমাণ সাইট্রিক এসিড থাকে।
এটি আমাদের পেটের বদ হজম জনিত সমস্যা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
লেবুর মধ্যে সাইট্রিক এসিড থাকার কারণে এটি পিত্তরস উৎপাদন করতে সহায়তা করে।
চায়ের সাথে লেবুর রস যোগ করলে অনেক সময় এসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পায় তার ফলে আমাদের হজম ক্রিয়া একটু স্লো হয়ে যায়।
অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে অনেক সময় গ্যাস্ট্রিকের মাত্রা বেড়ে যায় এবং পেট ফাঁপা কোষ্ঠকাঠিনের মত সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
লেবু চা আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং পেটের চর্বি কমাতেও সহায়তা করে।
লেবু আমাদের শরীরের মেদ কমাতে সাহায্য করে এবং জমে থাকা মেদ শরীর থেকে বের করেও দিতে পারে যার কারণে ওজন কমে যায়।
লেবুর খোসা চিবিয়ে খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী কারণ এর মধ্যে ভিটামিন সি ও সাইট্রিক এসিড রয়েছে।
এটি আমাদের দাঁত পরিষ্কার করতে, দাঁতকে মজবুত করতে সাহায্য করে এবং মাড়ি থেকে রক্ত পড়ার হার কমাতে সহায়তা করে।
আমাদের মানসিক চাপ বা স্ট্রেস কমাতেও সাহায্য করে।
রাতের বেলা লেবুর চা খাওয়া যাবে এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
রাতে লেবু চার সাথে আদা যোগ করে খেলে অনেক ভালো ঘুম হয়।
গ্রিন টি বা সবুজ চা লেবুর রস দিয়ে খাওয়া বেশি পরিমাণে ভালো।
যারা ওজন দ্রুত কমাতে চান তাদের জন্য গ্রিন টি লেবু দিয়ে খাওয়া উচিত। খুব দ্রুত বেলি ফ্যাট কমাতে সহায়তা করে।
প্রতিদিন লেবু চা খেলে কি হয় এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই জাগে? এটি আমাদের শরীরে মেদ চর্বি কমানোর পাশাপাশি আমাদের হজম শক্তিকে ত্বরান্বিত করে।
লেবু লিভারের জন্য উপকারী এটি লিভারের চাপ কমাতে সহায়তা করে।
কারণ লেবু আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে যার কারণে লিভারের বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়।
সকালে খালি পেটে উষ্ণ গরম পানিতে লেবু এবং মধু মিশিয়ে খেলে পেটের মেঘ ঝরে এবং শরীরের অনেক মেছতে সাহায্য করেই লেবু।
লেবু খেলে ডায়রিয়া হয় না লেবু ডায়রিয়া প্রতিরোধ করতে পারে। লেবুর রস খেলে মলত্যাগের প্রবণতা কমে যায়।
তাই ডায়রিয়া হলে লেবুর রস খেতে ফলের সাথে বা খাবারের সাথে মিশিয়েতে উপকার হবে।
লেবু চা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী কিন্তু অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না।
লেবু কম বেশি সব বেশি জনপ্রিয় একটি খাবার। এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং জনপ্রিয় একটি ফল।
তবে এইটির নানা উপকারিতার কথা জেনে অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। কারণ সব ভালো জিনিসেরই একটি নির্দিষ্ট মাত্রা আছে।
লেবু খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে লেবু খাবেন।
প্রতিদিন লেবু চা এক থেকে দুই কাপ এবং সর্বোচ্চ তিন কাপ এর বেশি খাওয়া যাবে না। অবশ্যই চিনি ছাড়া লেবু চা খাওয়া বেশি উপকারী।
আরও পরুন: ১. লেবুর উপকারিতা।
২. ত্বকের যত্নে লেবু……..……….।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের খাদ্য তালিকায় আলুর ভূমিকা অপরিসীম। আলুর কথা মনে পড়লেই চোখের সামনে ভেসে…
আলু একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ও পুষ্টিকর সবজি। আলুর উপকারিতা - alur upokarita , অসাধারণ গুনুগুন,…
সকালটা শুরু হয় এক কাপ গরম গরম চা দিয়ে। সকালে উঠে এক কাপ চা না…
আমরা অনেকেই ঠান্ডা বা গরম ও সকাল কিংবা সন্ধ্যায় যাই হোক না কেন এক কাপ…
বর্তমান সময়ে দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অনিয়মিত জীবনযাপন, বাহিরে বের হলে করা রোদ, ধুলো-বালির ফলে…
আদা হলো প্রাকৃতিক এক মহৌষধ। প্রাচীনকাল থেকে লোকমুখে একটি প্রবাদ প্রচলিত রয়েছে সেটা হলো -সকল…