সকালটা শুরু হয় এক কাপ গরম গরম চা দিয়ে। সকালে উঠে এক কাপ চা না খেলে মনে হয় যেন সকালটাই শুরু হয় না।
চা তো আমরা কমবেশি সবাই খেয়ে থাকি এই চা যদি হয়ে ওঠে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তাহলে চা খাওয়ার নেশা হলেও সমস্যা নেই।
আমরা যদি চা তে চিনি খাবার পরিবর্তে মধু খাই তাহলে এটি আমাদের দেহে অনেক উপকারে আসে।
শরীরের নানা ধরনের সমস্যার জন্য আমরা চিনি খেতে পারি না সে ক্ষেত্রে মধু ব্যবহার করাটা খুবই জরুরী।
কারণ মধু আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
মধুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
মধু চায়ের উপকারিতা অনেক।
মধুর উপকারিতা সম্পর্কে আমরা প্রায় সকলেই জানি। প্রাচীনকাল থেকে ঔষধি হিসেবে মধুকে ধরা হয়।মধুতে অনেক প্রাকৃতিক ঔষধি গুন রয়েছে।
কারণ অনেক আগে থেকেই মানুষ অনেক সমস্যার জন্য মধু খেয়ে থাকে।
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কুসুম গরম পানির সাথে লেবুর রস কয়েক ফোঁটা ও মধু মিশিয়ে পান করলে তা আমাদের বিপাক ক্রিয়ার হার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
এবং আমাদের অযাচিত ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
এছাড়া আমাদের সর্দি-কাশির মতো উপসর্গে চা বা দুধের সাথে এক বা দু চামচ মধু মিশিয়ে খেলে খুব দ্রুত আরাম পাওয়া যায়।
অনেক গবেষনায় দেখা গেছে, মধুর মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিকভাবে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, অ্যান্টিহিস্টামিন, ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি নামক উপকারি উপাদান।
আর এই উপকারী উপাদান গুলোর জন্যই মধু আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে।
মধুর মধ্যে তো প্রচুর পরিমাণ এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে ও তার সাথে চার মধ্যেও প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের ত্বকের বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে এবং আমাদেরকে ইয়াং রাখতেও সহযোগিতা করে। আমাদের ত্বককে সুস্থ সুন্দর রাখতেও সাহায্য করে।
মধু ও চা আমাদের চুল পড়া নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় আমাদের দেহে অনেক ধরনের রোগ আসতে বাধা প্রদান করে মধু ও চা।
আমাদের জ্বর সর্দি কাশি বা যেকোনো ধরনের কোল্ড হলে আর মধু চা খুব উপকারী।
ডক্টররা মধু চা খেতে বলে ডায়াবেটিস পেশেন্টদের। মধু চা খেলে ডায়াবেটিস বাড়ার সম্ভাবনা থাকে না।
কারণ ডায়াবেটিস রোগীদের সুগার লেভেল বেড়ে যায় চিনি খেলে যেটা খুবই ক্ষতিকর।
কারণ চিনি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। তাই মধু চা খেলে এনার্জিও পাওয়া যায় এবং মিষ্টি স্বাদটাও পাওয়া যায়।
তাছাড়া মধু আমাদের হার্টকে ভালো রাখতেও সাহায্য করে। নিয়মিত মধু চা খেলে হার্টের চর্বি হওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
ফলে আমাদের হার্টের নারী গুলোতে রক্ত চলাচল ঠিকভাবে হতে পারে। হার্ট অ্যাটাক বা হার্ট ফেলিওর সম্ভাবনা কমে যায়।
তাই যাদের অতিরিক্ত মেদ বা ওজন আছে তাদের অবশ্যই চিনির পরিবর্তে মধু দিয়ে চা খাওয়া উচিত।
বাড়তি ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে মধু চা খুবই উপকারী। এন্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার আমাদের পেটকে ভরা রাখতে সাহায্য করে ক্ষুধা কম লাগে।
যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা আছে তাদের জন্য মধু চা খুবই উপকারী।
অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগার ফলে আমাদের সর্দি কাশি হয় এবং গলায় কফ জমে শ্বাসকষ্ট হয় এগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারে মধু চা।
আবার অনেকের এলার্জির সমস্যা আছে সকালে হাত মুখ ধোয়ার পরেই হাঁচি কাশি শুরু হয়ে যায় তাদের জন্য মধু চা উপকারী।
এলার্জির সমস্যা রোধ করতে ও মধু চেয়ে অনেক সাহায্য করে।
মধু আমাদের দেহের ইমিউনিটি সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়াতে সহায়তা করে ।
এতে প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে।
যা আমাদের দেহ ,ত্বক, চুল সুস্থ সবল ও সতেজ রাখতে সাহায়তা করে।
আমরা যদি নিয়মিত মধু চা খাই তাহলে আমাদের হজম শক্তি বাড়বে এবং পেটের নানা ধরনের সমস্যা দূর হবে।
এবং মধু খাওয়ার ফলে আমাদের পরিপাকতন্ত্র কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে তারাতারি।
১ বা দের কাপ পানি নিয়ে নিতে হবে,
তার সাথে আধা চা চামচ চা পাতা,
১-২ চা চামচ খাঁটি মধু,
৩-৪ টুকরা কুচানো আদা দিয়ে দিতে হবে।
একটি পাত্রে পানি ফুটিয়ে নিতে হবে।তার সাথে আদা যোগ করতে হবে।
পরে পানির সাথে আদাকে একটু সময় ফুটিয়ে নিতে হবে। তারপরে তারপরে অল্প পরিমাণ চা পাতা যোগ করতে হবে।
কয়েক মিনিট ধবে জ্বাল দিয়ে নামিয়ে ফেলুন। কাপে ঢেলে দু-তিন চামচ মধু মিশিয়ে নিতে হবে।
হয়ে গেল সুস্বাদু মজাদার মধু চা।
মধু দিয়ে গরম পানি খাওয়ার উপকারিতা যেমন, উপকারীতার মাত্রা বাড়াতে আমরা যদি একটু লিকার এড করি তাহলে এটা মধু চা হয়ে যায়।
যা আমাদের স্বাস্থ্যের নানা ধরনের রোগ ব্যাধি থেকে আমাদের মুক্ত করার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ করে।
আদা চা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তাই বলে আমাদের অতিরিক্ত খেতে হবে এমন নয়।
অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। তাই পরিমিত পরিমাণে মধু চা খেতে হবে।
নিজেকে সুস্থ রাখুন এবং পরিবারের সবাইকে সুস্থ রাখুন।
আরও পরুন: ১) মধুর উপকারিতা ।
৩) আদার উপকারিতা।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের খাদ্য তালিকায় আলুর ভূমিকা অপরিসীম। আলুর কথা মনে পড়লেই চোখের সামনে ভেসে…
আলু একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ও পুষ্টিকর সবজি। আলুর উপকারিতা - alur upokarita , অসাধারণ গুনুগুন,…
লেবুর চা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি, সহজ ও শক্তিশালী পানীয়। টি সাধারণ পানীয় হলেও…
আমরা অনেকেই ঠান্ডা বা গরম ও সকাল কিংবা সন্ধ্যায় যাই হোক না কেন এক কাপ…
বর্তমান সময়ে দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং অনিয়মিত জীবনযাপন, বাহিরে বের হলে করা রোদ, ধুলো-বালির ফলে…
আদা হলো প্রাকৃতিক এক মহৌষধ। প্রাচীনকাল থেকে লোকমুখে একটি প্রবাদ প্রচলিত রয়েছে সেটা হলো -সকল…